যে কারণে ইসরায়েল থেকে ফ্লাইট এলো ঢাকায় 

আরটিভি নিউজ

শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৪ , ০১:৪৬ পিএম


যে কারণে ইসরায়েল থেকে ফ্লাইট এলো ঢাকায় 
সংগৃহীত ছবি

ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইসরায়েলের তেল আবিব থেকে একটি ফ্লাইট ঈদের দিন (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটের দিকে অবতরণ করেছে। ইসরায়েল থেকে কেন সরাসরি ফ্লাইটটি ঢাকায় এলো, এই প্রশ্ন সবার মনে। ফ্লাইটের অবতরণ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, ইসরায়েলের তেল আবিব থেকে যে ফ্লাইটটি এসেছিল, সেটি অপারেট করেছে ন্যাশনাল এয়ারলাইনস। বোয়িং ৭৪৭-৪০০ মডেলের উড়োজাহাজটি তেল আবিব থেকে প্রায় ৬ ঘণ্টায় উড়ে ঢাকায় আসে।  

এর আগেও বাংলাদেশে ন্যাশনাল এয়ারলাইনসের ফ্লাইট এসেছিল। বিভিন্ন সময়ে কার্গো পণ্য নিতে এয়ারলাইনসটির ফ্লাইট বাংলাদেশ আসে। মূলত, ইসরায়েলে পণ্য নামিয়ে খালি বিমান এসেছিল বাংলাদেশ থেকে পণ্য নিতে, যা মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে নিয়ে যাবে এয়ারলাইনসটি।

বিজ্ঞাপন

হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক কামরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ন্যাশনাল এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি মূলত ফেরি ফ্লাইট ছিল। আমেরিকান এই এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজটি আমেরিকায় নিবন্ধিত। ইসরায়েল থেকে ফ্লাইটটি এলেও কোনও পণ্য বা যাত্রী ঢাকায় আসেনি। বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক নিতে এসেছিল কার্গো ফ্লাইটটি।

তিনি বলেন, ফ্লাইটটি সরাসরি তেল আবিব থেকে এসেছে এবং ওই কার্গো বিমান যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত হয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের ওপেন স্কাই বিকল্পসহ বিমান পরিষেবা চুক্তি রয়েছে।  
 
তিনি আরও বলেন, কার্গো ফ্লাইটগুলো ঢাকা বিমানবন্দরে কিছু ফেলেনি বরং শুধুমাত্র আরএমজি শিল্প থেকে শারজাহ এবং অন্যান্য ইউরোপীয় গন্তব্যে পোশাক নিয়ে গেছে। দুটি শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা দুটি বিমান পরিদর্শন করেছেন। ফলে দেশটির যেকোনো এয়ারলাইনস বাংলাদেশে আসতে পারবে, একইভাবে বাংলাদেশি এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারবে। ফলে ন্যাশনাল এয়ারলাইনস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারলাইনস হওয়ায় বাংলাদেশে আসতে কোনো বাধা নেই। 

এদিকে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিষয়টি পরিষ্কার যে, ওই ফ্লাইটের ঢাকায় অবতরণ এবং মালামাল নিয়ে যাওয়া রুটিন কাজেরই অংশ। যদি সরাসরি ইসরাইল থেকে ঢাকায় না আসত, তাহলে হয়তো কেউ এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াতে পারত না।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, ইসরায়েলের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ইসরায়েল ভ্রমণেও নিষেধাজ্ঞা আছে। খুব বেশিদিন আগে নয়, কয়েক বছর আগেই বাংলাদেশি পাসপোর্টে লেখা ছিল, ‘দিস পাসপোর্ট ইজ ভ্যালিড ফর অল কান্ট্রিজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’। জাতিসংঘভুক্ত যে ২৮টি দেশ ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়নি, তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission